
আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। এবারকার কমিটিতে মিসবাহ সিরাজ পদোন্নতি পেতে পারেন বলে আশা করেছিলেন তার অনুসারীরা। তবে কমিটিতে কোথাও সাথান হয়নি মিসবাহ সিরাজের।
বৃহস্পতিবার ঘোষিত আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ঠাঁই হয়নি মিসবাহ সিরাজের। আওয়ামী লীগের নতুন সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন সিলেটের আরেক নেতা শফিউল আলম নাদেল।
ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে পা রাখেন মিসবাহ সিরাজ। ২০০৮ সালে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। এরপর থেকে আর পিছু তাকাতে হয়নি মিসবাহকে। ২০১০ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয় তাকে। একই সময়ে তিনি পান সিলেটের পাবলিক প্রসিকিউটরের দায়িত্ব।
এবার সম্মেলনে পদোন্নতির আশা করেছিলেন মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। প্রত্যাশায় ছিলেন তার অনুসারীরাও। তাদের প্রত্যাশা ছিলো এবার সংগঠনিক সম্পাদক কিংবা যুগ্ন সম্পাদক হবেন আওয়ামী লীগের এ নেতা। তবে গত ২১ ডিডসেম্বর অনুষ্ঠিত নম্মেলনে কিংবা বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির কোন পদেই জায়গা হয়নি মিসবাহ সিরাজের।
গত নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেও মনোনয়ন বঞ্চিত থাকতে হয় কামরানকে। নির্বাচনে সিলেট-১ ও সিলেট-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।
তবে সিলেট-১ আসনে ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও সিলেট-৩ আসনে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসেকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ।। ফলে বঞাচিতই থাকতে হয় মিসবাহ উদ্দিন সিরাজকে।
সর্বশেষ আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনেও বঞ্চিত থাকতে হয় মিসবাহ সিরাজকে। ২১ ডিসেম্বর সম্মেলনের পর ঘোষিত আংশিক কমিটিতে ঠাঁই হয়নি কামরানের। এরপর বৃহস্পতিবার ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নেই মিসবাহ সিরাজের নাম। মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের বদলে দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হন সিলেটের আরেক নেতা শফিউল আলম নাদেল।